
নেপালে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা আবারও রাজপথে নেমেছে। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি-র পদত্যাগ দাবি করে রোববার রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীদের একটি শক্তিশালী অংশ। তরুণদের নেতা সুদান গুরুং-এর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয় মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ থেকে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাদের আন্দোলনের ফলেই কার্কি প্রধানমন্ত্রী পদে এসেছেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বণ্টনের আগে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি। নেপালের ডিজিটাল ম্যাগাজিন সেতোপতির বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। তারা প্রশ্ন করে, “আমাদের আন্দোলনের ফলেই এই সরকার গঠিত হয়েছে—তাহলে সিদ্ধান্তের সময় আমাদের পরামর্শ কেন নেওয়া হবে না?”
বিক্ষোভস্থলে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন, যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
সুদান গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তরুণদের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নেমে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, “আমরা চাইলে যেখান থেকে তুলেছি, সেখান থেকেই এই সরকারকে নামিয়ে আনব।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ওম প্রকাশ আরিয়াল-এর নিয়োগ নিয়েও আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ। তাদের অভিযোগ, আরিয়াল নিজের রাজনৈতিক প্রভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জেন-জি আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের এই দ্বন্দ্ব সমাধান না হলে নেপালের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।