
সারা দেশে মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দশ হাজার ম্যুরাল নির্মাণে ব্যবহৃত অর্থের হিসাব চেয়ে দেশের ৬৪টি জেলা পরিষদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে।
২০ জুলাই পাঠানো এই চিঠির মাধ্যমে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ম্যুরাল এবং ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যবহৃত অর্থ, তহবিলের উৎস, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নাম ও দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম গঠন করেছে দুদক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যাপক আকারে ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়, যার মধ্যে অপচয় ও তহবিল তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একইসঙ্গে, মুজিব কিল্লা প্রকল্প নামে পরিচিত দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, নির্জন স্থানে ভবন নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে অনেক কিল্লা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
২০১৮ সালে প্রণীত এই প্রকল্পের আওতায় ১৬ জেলায় ৫৫০টি কিল্লা নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও এর বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা ও তদারকির ঘাটতির অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রকল্পে অতিরিক্ত বিল প্রদান, দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদেও তলব করা হয়েছে।
এই অনুসন্ধান প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।