নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ী শুধু একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, বরং একটি নতুন শহর হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য ‘ব্লু ইকোনমি’ বা সুনীল অর্থনীতি গড়ে তোলার একটি বড় সুযোগ।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ প্রকল্পের একটি প্রেজেন্টেশন দেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে—
প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০,
দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫,
এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত।
যা প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং জিডিপিতে প্রায় দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, সমুদ্রই হবে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের নতুন মহাসড়ক। তিনি গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ওপর জোর দেন এবং এই বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। এই খাতে নিজেদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা জরুরি। এ বিষয়ে অন্য দেশের গবেষণাপত্রগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং নিজস্ব গবেষণা শুরু করার কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস এই প্রকল্পের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এবং সেখানকার বনভূমি কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেন।
এই বৈঠকে মিডার সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলমসহ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।