
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সর্বশেষ আসরে এক বিতর্কিত আউটকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট মহলে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার সেই ম্যাচ ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছিল ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিসিবি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে সরব ছিলেন।
ঘটনার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষণা দেয়, ক্রিকেটে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অসদাচরণের ক্ষেত্রে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল রয়েছে। পাশাপাশি তারা তদন্ত শুরুর কথাও জানায়।
বিতর্কটি সৃষ্টি হয় ম্যাচের শেষ মুহূর্তে। জয় থেকে মাত্র ছয় রান দূরে থাকা অবস্থায় শাইনপুকুর ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে আউট হন, সেটিই আলোচনার জন্ম দেয়। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, তিনি ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে আসেন এবং উইকেটরক্ষক স্টাম্প ভাঙার আগেই ব্যাট ক্রিজে পৌঁছালেও হঠাৎ সেটি আবার বের করে নেন। ফলে স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে আউট হন তিনি এবং শাইনপুকুর হেরে যায় ম্যাচটি।
এ নিয়ে বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (এসিইউ) দীর্ঘ তদন্ত শুরু করে। কয়েক মাসের অনুসন্ধানের পর উঠে আসে সত্যতা। এসিইউর তদন্ত অনুযায়ী, এটি ছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অংশ এবং সাব্বির এতে জড়িত ছিলেন।
প্রাপ্ত নথি অনুযায়ী, সাব্বির সন্দেহভাজন এক বুকির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং বিষয়টি রিপোর্ট না করে বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন কোডের একাধিক ধারা ভঙ্গ করেছেন। এজন্য এসিইউ তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে সব ধরনের ক্রিকেটে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে।