এক বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারও চালুর সম্ভাবনায় আশাবাদী বাংলাদেশ সরকার। এই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় বৈঠকে বসছেন দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্ল্যা ভূঁইয়া ও উপসচিব মো. সারওয়ার আলম।
বৈঠকে মূলত মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়েই আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এই আলোচনার পর যৌথ কারিগরি কমিটির মাধ্যমে প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ চাইছে, এবার সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হোক।
মালয়েশিয়ার বাজার অতীতে একাধিকবার বন্ধ হয়েছে। সবশেষ ২০২৪ সালের শুরুতে অনিয়ম ও চক্রের অভিযোগে দেশটি শ্রমবাজার বন্ধ করে দেয়। তবে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি কর্মী সেখানে গেছেন।
২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ লাখ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় কর্মরত হয়েছেন। শুধু ২০২৩ সালেই গেছেন সাড়ে তিন লাখের বেশি।
এদিকে অভিবাসন খরচ নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। সরকার নির্ধারিত ৭৯ হাজার টাকার জায়গায় বাস্তবে অনেক কর্মীকে গড়ে ৫ লাখ টাকার বেশি দিতে হয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।
অভিবাসন বিষয়ক ২৩টি বেসরকারি সংগঠন সরকারের কাছে ১০টি সুপারিশ পেশ করেছে যাতে পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়। রামরুর নির্বাহী পরিচালক তাসনীম সিদ্দিকী মনে করেন, শ্রমবাজার খোলা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন সবার জন্য সমান সুযোগ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।