
শুক্রবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। জুমার নামাজ শেষে জেলার বিভিন্ন স্থানে মুসল্লিরা ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন। ভায়না মোড়, চৌরঙ্গী মোড় ও মহম্মদপুরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ভায়না মোড়ে কিছু মুসল্লি সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন এবং একটি পুলিশের প্রিজন ভ্যান তল্লাশি করে আসামি খোঁজার চেষ্টা করেন। পরে তারা সদর থানার প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা থানার গেট ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে স্লোগান দেন। পরে তারা পুনরায় প্রধান ফটক ভাঙতে গেলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ বিষয়ে মাগুরা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনার সন্দেহভাজন দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর থাকায় অভিযুক্তদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। শিশুটির চিকিৎসা চলমান থাকায় আইনগত বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে বিলম্ব হতে পারে, তবে পুলিশ দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে কাজ করছে।
পুলিশ সুপার মাহমুদা মিনা জানান, সকাল বেলা মেয়েটির মৃত্যুর খবর ছড়ালেও, সে জীবিত রয়েছে এবং বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তবে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শুক্রবার সকালে শিশুটির দুলাভাই সজীব শেখ (১৯) ও তার বড় ভাই রাতুল শেখ (২৮) আটক হন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতেই সজীব শেখের বাবা হিটু শেখ (৪৫) আটক হন।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শিশুটির স্বজনরা ঢাকায় অবস্থান করায় এখনো মামলা হয়নি। তবে, এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।