
গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন বোমা হামলার পর কাতারের ওপর ফের আক্রমণ হলে ‘প্রতিশোধমূলক পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন এই আদেশে কাতারের ওপর যে কোনো সশস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ট্রাম্পের সই করা আদেশে বলা হয়েছে, ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এবং বিদেশি আগ্রাসনের মাধ্যমে কাতারের ওপর চলমান হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, দেশটির ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব ও অবকাঠামো রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কাতারের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করাকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অঙ্গীকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের সমন্বয়ে একটি যৌথ তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা বজায় রাখা হবে, যাতে কাতারের বিরুদ্ধে যে কোনো বিদেশি আগ্রাসনের দ্রুত ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সকল নির্বাহী বিভাগ ও সংস্থাকে এই আদেশ বাস্তবায়নে আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ইসরায়েল দোহায় একটি ভবনে বোমা হামলা চালায়, যেখানে গাজার জন্য যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল। হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের কয়েকজন সদস্য নিহত হন এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রাণ হারান। ইসরায়েল দাবি করে, হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনার পর গত সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের কাছে ক্ষমা চান। হোয়াইট হাউস থেকে একটি যৌথ ফোনকলে ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।