দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের একটি রায় বাতিলের দাবিতে ফের রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (১৭ মে) ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ সংগঠন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি জোবায়ের পাটোয়ারী জানান, “আমাদের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের বিষয়ে কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি। হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ থাকলেও চূড়ান্ত রায় হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “রোববার রায়ের শুনানি রয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আমাদের দাবির কথা জানাবো।”
আরেক নেতা মাশফিক ইসলাম দেওয়ান জানান, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে একটি রূপরেখার খসড়া তৈরি হয়েছে। তবে সরকার পদবি পরিবর্তন ও বিধি সংস্কারে উদ্যোগ নিলেও যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৬ এপ্রিল থেকে তারা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কিছুদিন আন্দোলন স্থগিত থাকলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি:
১. হাইকোর্টের রায় বাতিল, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি ও পদবি পরিবর্তন, মামলার সংশ্লিষ্টদের বরখাস্ত।
২. ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগবিধি বাতিল, তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।
৩. চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স চালু রাখা ও আধুনিক পাঠ্যক্রম চালু।
৪. ১০ম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ কেবল ডিপ্লোমাধারীদের জন্য সংরক্ষণ।
৫. বেসরকারি খাতে ডিপ্লোমাধারীদের ন্যূনতম বেতন ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ।
৬. জুনিয়র ও ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদবি ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণ।

