
কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টি, আবার কখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়েও পরাজিত হয়েছেন এস এম শফিকুর রহমান (মুশফিক)। সর্বশেষ ২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়ে চতুর্থ স্থানে থেকে জামানত হারান। তবে ওই নির্বাচন নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এস এম শফিকুর রহমান বলেন, “২০২৩ সালের কেসিসি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। আমি প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনে জয়ী হয়েছি এবং আমিই খুলনা সিটির বৈধ মেয়র।”
তিনি জানান, মনোনয়নপত্র বাতিলের পর উচ্চ আদালতের আদেশে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে ভোটগ্রহণে ব্যবহৃত ইভিএমের সার্ভার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থাকায় সেখান থেকেই ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, “আমার কর্মদক্ষতা ও ভিশন তরুণ সমাজের মন জয় করেছিল। আমি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলাম, কিন্তু ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়।”
তিনি আরও দাবি করেন, নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে তিনি নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন। কোনো সাড়া না পেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, আদালত নির্বাচন কমিশনকে ফলাফল বাতিল এবং চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে আদালতের কোনো রায়ের কপি বা নথি তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, “জনতার মেয়র হিসেবে আমি নগর সেবায় অংশ নেব। নগর ভবনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের কেসিসি নির্বাচনে মোট ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৭ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক পান ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আউয়াল পেয়েছিলেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছিলেন মাত্র ১৭ হাজার ২১৮ ভোট।