
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করবে সরকার। এ উদ্যোগের বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ICT Division)।
আজ বুধবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ‘জুলাই শহিদ দিবস’ ও ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
সেমিনারের শিরোনাম ছিলো— ‘Youth Power: Language Movement 1952 to Quota Reform Movement 2024’। শুরুতেই জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং আইসিটি টাওয়ারের নিচতলায় নবনির্মিত “জুলাই কর্নার” উদ্বোধন করা হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “জুলাই যোদ্ধারা আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আমরা সেই দায়িত্ব কতটা আন্তরিকভাবে পালন করছি, তা মূল্যায়নের সময় এসেছে। আগামী দিনে আমরা আহত আন্দোলনকারীদের আইসিটি স্কিল দিয়ে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ গঠনের সুযোগ তৈরি করব।”
তিনি আরও বলেন, “নাগরিক সেবা নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মিত সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলোতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে আমরা কাজ করছি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “বাঙালি জাতি মরতে জানে, কিন্তু হারতে নয়। দুই হাজারের বেশি শহিদ দিয়ে আমরা এই আন্দোলনে সফল হয়েছি।”
জুলাই আন্দোলনের আহত একজন যোদ্ধা মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল ব্যবস্থার পরিবর্তন। এখন প্রয়োজন সুষ্ঠু বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন।”
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আহসান ইয়াসির শারার বলেন, “প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা হোক।”
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক ড. এম মেজবাহ উদ্দিন সরকার। উপস্থিত ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. মেহেদী হাসান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আহত আন্দোলনকারী এবং আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা।