
জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পর বাংলাদেশ কাঠামোগত অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, “আমরা যে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছি, তা ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের সুযোগ দেবে।”
আজ ঢাকার টিসিবি মিলনায়তনে আয়োজিত “জুলাই পুনর্জাগরণ” স্মরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, “সিন্ডিকেট ধ্বংসের মাধ্যমে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। টিসিবির কার্যক্রম আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। এক কোটি পরিবারকে কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
তিনি জানান, অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে এসেছে। রিজার্ভ যেখানে ১০ বিলিয়নে নেমে গিয়েছিল, এখন তা বেড়ে ৩০ বিলিয়নে পৌঁছেছে। রপ্তানি গত ৩২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। এছাড়াও বৈষম্য হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “জুলাইয়ে যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। সেই আন্দোলনের জন্য অনেককেই জীবন দিতে হয়েছে। আমরা সেই আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফয়সল আজাদ এবং ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিবর্গ, যারা তাঁদের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন।