সারজিস আলম: জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারদের পাশে ঈদের দিনে

সারজিস আলম: জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারদের পাশে ঈদের দিনে

পঞ্চগড়ে গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পাঁচ বীরের পরিবারের সাথে ঈদের দিন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এই পরিবারগুলোর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোতে উঠে এসেছে হৃদয়বিদারক সব গল্প, যা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করেছে।

শহীদ সাজু: ২৭ জুলাই পৃথিবীতে আসা নিজের সন্তান আবু সাঈদকে দেখে যেতে পারেননি শহীদ সাজু। জন্মের আগেই তিনি ছেলের নাম ঠিক করে রেখেছিলেন। ১১ মাস বয়সী আবু সাঈদ হয়তো জানেই না, সে একটি দেশের ইতিহাসের কতটা বড় অংশ। তার বাবা যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তার নাম আবু সাঈদ রেখেছিলেন, সেই আবু সাঈদ একটি দেশের ইতিহাস পরিবর্তনের কত শক্তিশালী প্রতীক। শহীদ সাজুর ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী এখন দিশেহারা।

শহীদ শাওন: শহীদ শাওনের তিন বছরের এক সন্তান আছে। ২২ বছর বয়সী তার স্ত্রী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

শহীদ সুমন: শহীদ সুমন ছিলেন বৃদ্ধ বাবা-মা আর তিন বোনের সকল স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু। আজ সেই স্বপ্নগুলো ধূধূ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

শহীদ সাগর: স্বামীর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা থাকা শহীদ সাগরের মা, তার একমাত্র অবলম্বন সাগরকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে সরে গিয়েছেন।

সারজিস আলম উল্লেখ করেন, এমন জানা-অজানা হাজারো গল্পের ফল এই অভ্যুত্থান এবং এই নতুন দেশ। তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, “এই স্বপ্নগুলোর সাথে কোনো আপোস করা হবে না, আপোস করতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।” এই শহীদদের আত্মত্যাগই নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি, যা কোনো মূল্যে বিসর্জন দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *