
আগামী মাস থেকে ২৪ জুন ২০২৫ তারিখের গণ-অভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ মাসিক ভাতা পেতে শুরু করবেন। এছাড়া, এই যোদ্ধারা আজীবন সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সোমবার জানান, ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি অনুযায়ী তাদের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা এবং মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। আহত যোদ্ধাদের ‘এ’, ‘বি’, ও ‘সি’ এই তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
- ‘এ’ শ্রেণির যোদ্ধারা মাসে ২০ হাজার টাকা পাবেন,
- ‘বি’ শ্রেণির ১৫ হাজার টাকা,
- আর ‘সি’ শ্রেণির মাসিক ভাতা হবে ১০ হাজার টাকা।
৮৩৪ জন শহীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের জন্য এককালীন ৩০ লাখ টাকা অর্থনৈতিক সহায়তা রাখা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ২০ লাখ টাকা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারগুলো প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতাও পাবেন।
ফারুক-ই-আজম জানান, গুরুতর আহত যোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। যারা এতই আহত যে স্বনির্ভর জীবনযাপন করতে পারবেন না, তাদের ‘এ’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে এবং তারা এককালীন ৫ লাখ টাকা সহ মাসিক ২০ হাজার টাকা পাবেন।
যারা মাঝারি আহত এবং আংশিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন, তাদের ‘বি’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা এবং মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। সুস্থ এবং সামান্য আহত যারা ‘সি’ শ্রেণিতে আছেন, তাদের এককালীন ১ লাখ টাকা এবং মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা দেয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র কয়েক মাসে এই যোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে, যা সরকারের দায়িত্ব ও আন্তরিকতার প্রমাণ।
তিনি আরও জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করতে প্রতিবছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা ভবিষ্যতে জাতীয় দিবস হিসেবে মর্যাদা পাবে।
বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার কারণে কিছু শহীদ পরিবারের পাওনা টাকা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে, তবে তা দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।