
আলোচিত ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ তৌহিদ আফ্রিদিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস তার জামিন আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন। জামিনের শুনানিতে আফ্রিদি তার অসুস্থতা এবং স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা উল্লেখ করলেও আদালত তাকে চিকিৎসার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
বেলা ১২টার দিকে সিআইডি পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে এবং কারাগারে রাখার আবেদন জানায়। দুপুর ২টা ৫৬ মিনিটের দিকে তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তার মুখে মাস্ক, মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া এবং বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।
আদালতে আফ্রিদির আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জামিন চেয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। মামলার বাদীও এফিডেভিট দিয়ে বলেছেন, তথ্যগত ভুলের কারণে আফ্রিদিকে আসামি করা হয়েছে। আফ্রিদি শারীরিকভাবে অসুস্থ, তার কিডনিতে অপারেশন হয়েছে এবং তাকে ইনসুলিন নিতে হয়।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দিলে আফ্রিদি নিজে কথা বলার অনুমতি চান। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমার বয়স ২৫ বছর। চার মাস আগে কিডনিতে অপারেশন হয়েছে। ইনসুলিন নেওয়া লাগে। আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।” তিনি বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানালে বিচারক তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনার যাবতীয় চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে।”