
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, জামায়াতকে আর মাথায় উঠতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, জামায়াতকে তারা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, জামায়াত আসন্ন নির্বাচনে ৫০টি আসন চেয়েছিল, কিন্তু তারা ৩০টি আসনের কথা বলেছেন, যা তাদের মনঃপূত হয়নি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল’। তিনি আরও বলেন, জামায়াত এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নামও ঘোষণা করছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ প্রবলভাবে নির্বাচন চাইছে। সেনাবাহিনী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা চান যে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক দলগুলো অংশ নিক, যাতে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হয়। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতে না দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা শাস্তি পেয়েছেন। একই কাজ করলে বিএনপিকেও তার প্রতিফল পেতে হবে।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দীর্ঘদিনের জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি ভুল ধারণা। জামায়াত শুধু তাদের নির্বাচনী শরিক, তারা ধর্মীয় রাজনীতি করে, কিন্তু বিএনপি তা করে না। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগের অপপ্রচারের কারণে ভারত বাংলাদেশকে ভুলভাবে দেখেছে। তিনি বলেন, এখন জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড় তীব্র ‘ভারত-বিরোধিতায়’ পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিনি চান ভারত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখুক এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে অবাধ যোগাযোগ ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হোক।