জামায়াতের প্রথম হিন্দু প্রার্থী কে এই কৃষ্ণ নন্দী?

নিউজ ডেক্স, দেশি বার্তা।

জামায়াতের প্রথম হিন্দু প্রার্থী কে এই কৃষ্ণ নন্দী?
জামায়াতের প্রথম হিন্দু প্রার্থী কৃষ্ণ।

খুলনা-১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে জামায়াতে ইসলামী এবার প্রথমবারের মতো হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছে। নতুন মনোনীত প্রার্থী হলেন ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় আট দলীয় জোটের বিভাগীয় সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান খুলনা–১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। পরে বুধবার বিকেলে স্থানীয় নেতাদের বৈঠকে তাঁর এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হয়।

মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, “আমাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। সেখানে জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। নির্দেশনা পেয়েছি, এখন এলাকায় ফিরে কাজ শুরু করব।”

পূর্বে এই আসনে প্রার্থী ছিলেন মাওলানা আবু ইউসুফ। তাকে নিয়ে প্রশ্ন করলে কৃষ্ণ নন্দী জানান, “বুধবার জামায়াত আমির আমাদের দুজনকে একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন আমার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। দলের ভেতরে কোনো ধরনের বিরোধ নেই।”

জানা যায়, ডুমুরিয়ার চুকনগর এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ নন্দী ২০০৫ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু শাখার সভাপতি এবং স্থানীয় সনাতন কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, জামায়াতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো দলের আদর্শিক অবস্থান। তাঁর ভাষায়, “জামায়াত ন্যায় ও সততার দল। এখানে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বা মাদককে প্রশ্রয় নেই। উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যেই আমি ২০০৫ সাল থেকে জামায়াতের সঙ্গে আছি­—এটা কোনো হঠাৎ সিদ্ধান্ত নয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকার আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এলাকা হওয়ায় তাকে বিভিন্ন সময় চাপের মুখে থাকতে হয়েছে।

গত এক বছরে মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা–সমাবেশে কৃষ্ণ নন্দীর সক্রিয় অংশগ্রহণ দলের স্থানীয় পর্যায়ে তার গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে। এসব কর্মসূচিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

খুলনা–১ আসনে তাঁর মনোনয়নকে জামায়াতের ভেতরে একটি ‘ব্যতিক্রমধর্মী ও কৌশলগত পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *