সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন পুনর্বহাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের একটি চার সদস্যের বেঞ্চ রবিবার সকালে এই রায় ঘোষণা করে।

রায়ে হাইকোর্টের ২০১৩ সালের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়, যেখানে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে এখন দলটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধার সম্মুখীন হবে না।

তবে জামায়াত তাদের পূর্বের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন—এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত।

জামায়াতের পক্ষ থেকে মামলায় আইনি লড়াই করেছেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক এবং আইনজীবী শিশির মনিরসহ আরও অনেকে। আদালতে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সমর্থক আইনজীবীরাও।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট দলটির নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।

জামায়াত পরে বিলম্ব মার্জনা চেয়ে আপিল করে এবং দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবার তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি ফিরে পেল।

জামায়াত আমীরের প্রতিক্রিয়া:

এই রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন:

“আলহামদুলিল্লাহ!
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ বাতিল ঘোষণা করেছে।
মহান রবের দরবারে নতশিরে শুকরিয়া আদায় করি—আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মহান রবের সাহায্য চাই—আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই। আমিন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *