
নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ ও নিজেদের মতামতকে প্রাধান্য না দেওয়ার অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার।
শুক্রবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এমন এক সময়ে পদত্যাগ করলেন যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সাত্তার বলেন, “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে আমরা যা বুঝি, এই নির্বাচনে সেটি ছিল না।” তিনি আরও জানান, পদত্যাগ না করার জন্য তার ওপর চাপ থাকলেও তিনি নিজ সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন।
এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেছেন, জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনার জন্য পোলিং অফিসারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গণনা চলছে।
এই পরিস্থিতিতে জাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সিনেট ভবনে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
আরিফ উল্লাহ বলেন, “প্রশাসন যেকোনো মূল্যে জাকসুকে অকার্যকর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা সকলে সিনেট ভবনে জমায়েত হোন। আপনাদের ভোটের ফলাফল নিজেদের হাতে বুঝে নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “ফলাফল না নিয়ে সিনেট ভবন থেকে এক পা-ও নড়বেন না। জাকসু বানচালের এই ষড়যন্ত্র আমাদের একজোট হয়ে ব্যর্থ করে দিতে হবে।”