
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু শ্বাসরোধের ফলে হয়েছে বলে ভিসেরা প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয় এবং শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
সিআইডি মহাখালীর প্রধান নজরুল ইসলাম ও খুলনা বিভাগীয় পরীক্ষক জনি কুমার ঘোষের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “ভিসেরা রিপোর্টে যে তথ্য এসেছে, তা থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় এটি একটি হত্যাকাণ্ড।”
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রুমন রহমান বলেন, “প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাজিদের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে। বিষক্রিয়ার কোনো প্রমাণ নেই।”
সাজিদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কমিটি তাদের রিপোর্ট আজকের মধ্যে জমা দেবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি পুকুরে সাজিদের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যায়।
সাজিদ আব্দুল্লাহ আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায়।
সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত ছিল ক্যাম্পাস। ছাত্র সংগঠনগুলো একাধিকবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।