
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম-খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের কষ্টের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হয়েছে। গুম কমিশনকে জনসমক্ষে উপস্থাপন এবং গণশুনানি করতেও তারা সফল হয়নি। এটার জন্য তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে ।
শুক্রবার বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘মায়ের ডাক’-এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দাবি ছিল এসব ঘটনার যথাযথ বিচার হবে। আমরা গুম হওয়া পরিবারের সঙ্গে সারাক্ষণ রয়েছি। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে আছি। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় ছয় বছর কারাগারে ছিলেন, নেতা তারেক রহমান নির্বাসিত ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, এক পরিবারের সাতজন পর্যন্ত গুম হয়েছে। ছোট বাচ্চাদের কষ্টজনক পরিস্থিতি দেখে ব্যথিত হন তিনি। তিনি গুম-খুনের ঘটনা দ্রুত বিচার করার জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিএনপি মহাসচিব উল্লেখ করেন, “আমাদের দেশে এই প্রথমবার সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গুম এবং নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রায় ২০ হাজার মানুষ বিনা বিচারে হত্যা হয়েছে এবং ১৭শ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। এই অপরাধের দায় সরকারকে বহন করতে হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ হতে হবে। জনগণের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না এবং দেশের মানুষের শক্তি দিয়ে এটি সাফল্য অর্জন করবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকেও বাংলাদেশের গুম ঘটনার তদন্তে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ‘মায়ের ডাক’-এর প্রধান সানজিদা ইসলাম তুলি সভাপতিত্ব করেন এবং গুম-হওয়া পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা বক্তব্য দেন।