পূর্ববর্তী নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে। তবে এটির মূল শক্তিশালী অংশ বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বিস্তৃত, বিশেষ করে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায়।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, এই গভীর নিম্নচাপটি ইতোমধ্যে উপকূল অতিক্রম করায় এর থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে এর প্রভাবে ৫০-৭০ কিমি/ঘণ্টা বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে অনেক এলাকায় বৃষ্টিপাত চলছে এবং এই বৃষ্টিপাত আরও বিস্তৃত হতে পারে। যেসব স্থানে এখনও বৃষ্টি শুরু হয়নি, সেখানে আগামী ঘণ্টাগুলোতে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া বিশ্লেষণে জানা গেছে, গভীর নিম্নচাপটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনার উত্তরে এবং রাজশাহীর পূর্বাঞ্চল দিয়ে গাইবান্ধার দিকে যেতে পারে। এ সময়ে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ৩১ মে’র পর এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পৌঁছে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃষ্টি পরিস্থিতির ধারা অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন নাগাদ বাংলাদেশ থেকে এই বৃষ্টি বলয় পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উৎস:
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম লিমিটেড