গাজা সিটি দখলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ

গাজা সিটি দখলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ

গাজা উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটি দখল করার ইসরায়েলি পরিকল্পনার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা আশঙ্কা করছেন, এই ধরনের সামরিক অভিযান গাজায় আটক জিম্মিদের জীবনকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।

বিক্ষোভের কারণ

শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা উপত্যকার “নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ” এবং গাজা সিটি দখলের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করে। এরপর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। তাদের মতে, সামরিক অভিযান বাড়ালে জিম্মিরা আরও বিপদে পড়বেন।

নেতৃবৃন্দের অবস্থান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবশ্য দাবি করেছেন যে, এই সামরিক অভিযান জিম্মিদের মুক্ত করতে সাহায্য করবে। তবে জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদক্ষেপকে “যুদ্ধ বিস্তারের” একটি কৌশল হিসেবে সমালোচনা করেছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এই পরিকল্পনাকে “গণহত্যা ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের” ধারাবাহিকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। হামাসও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েলকে বড় মূল্য দিতে হবে এবং বাকি জিম্মিদের হারাতে হতে পারে।

যুদ্ধ পরিস্থিতি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। এই দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬১ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং সেখানকার প্রায় সব বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *