
ইসরায়েলের বাধা ও ধরপাকড়ের পরও ফিলিস্তিনের গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ত্রাণবাহী ৩০টি নৌযান। সংগঠনের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে জানানো হয়েছে, বহরটি বর্তমানে গাজা উপত্যকা থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
গত বুধবার রাতে গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী বহরে বাধা দেয়। অন্তত আটটি নৌযান থামিয়ে দেওয়া হয়, যার মধ্যে ছিল দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা ও আরও কয়েকটি। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মোট ১৩টি নৌযান আটক করা হয়েছে।
এ সময় বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের নিরাপদে বন্দরে নেওয়া হয়েছে।
৪০টিরও বেশি নৌযানে গঠিত এই বহরে রয়েছেন ৪৪ দেশের প্রায় ৫০০ জন কর্মী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক। তাদের দাবি, এটি গাজার অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।
ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও বহরের ৩০টি নৌযান গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। অংশগ্রহণকারীরা দখলদার বাহিনীর সামরিক জাহাজের বাধা উপেক্ষা করে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরোধের কারণে উপত্যকার সাধারণ মানুষ ভয়াবহ খাদ্যসংকটে পড়েছে।
এই মানবিক বহরটি গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে তিউনিসিয়া, ইতালি ও গ্রিস থেকে আরও নৌযান এতে যোগ দেয়। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই বহরের সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র রয়েছে, যদিও তারা এর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।