
মাত্র সাত বছর বয়সে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন মার্কিন অভিনেত্রী স্যাডি সিঙ্ক। এখন ২৩ বছরে পা দিয়ে তিনি পরিণত অভিনয়শিল্পী হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন। স্যাডি নিজেও মনে করেন, ছোট বয়সে কাজ শুরু করাটা শুধু তাঁর পেশাগত দক্ষতা নয়, ব্যক্তি সত্ত্বাকেও সমৃদ্ধ করেছে। একসেস হলিউডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার বেড়ে ওঠা ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা। অল্প বয়স থেকেই আমাকে কাজ ও দায়িত্ব নিয়ে ভাবতে হয়েছে। এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আমার জীবনদর্শনেও গভীর প্রভাব ফেলেছে।”
মাত্র সাত বছর বয়সে ভাইয়ের সঙ্গে ডিজনির একটি সিরিজে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু। এরপর দশ বছর বয়সে নাম লেখান মঞ্চে। তবে ২০১৬ সালে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর ম্যাক্স চরিত্রে অভিনয় করে ক্যারিয়ারে বড় মোড় আনেন।

স্যাডি বলেন, “এই সিরিজ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। দুর্দান্ত সব সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। কখনো আনন্দে মেতেছি, কখনো কেঁদেছি, আবার কখনো বিচ্ছেদে মন খারাপ করেছি।”
সম্প্রতি ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর চূড়ান্ত মৌসুমের শুটিং শেষ করেছেন স্যাডি। শেষ দিনের অনুভূতি স্মরণ করে বলেন, “আমি এতটা কেঁদেছিলাম যে মনে হচ্ছিল অসুস্থ হয়ে পড়বো। সিরিজটি আমার জীবনের এতটাই আবেগের অংশ হয়ে গেছে যে, নেটফ্লিক্সে প্রচারিত হলে নিজেই দেখতে পারবো কি না, নিশ্চিত নই।”
বর্তমানে স্যাডি প্রশংসা পাচ্ছেন নতুন মঞ্চনাটক ‘জন প্রোক্টর ইজ দ্য ভিলেন’-এর জন্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান নাটকটিকে পাঁচে চার রেটিং দিয়েছে এবং স্যাডির পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
আগামী ২০ মে হুলুতে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘ও’ডেসা’। পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক মিউজিক্যাল ড্রামাটি স্যাডির ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। এ ছাড়া, স্যাডি সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত বড় বাজেটের তারকাবহুল ছবি ‘স্পাইডার-ম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’ নিয়ে, যেটি মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের গ্রীষ্মে।