
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘অড’ অঞ্চলে ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং মারাত্মক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে, যা প্যারিসের আয়তনের থেকেও বৃহত্তর। গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই দাবানলে একজন নারী নিহত ও কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
দমকলকর্মী ও সেনাবাহিনীর দুই হাজারেরও বেশি সদস্য, ৫০০টির বেশি অগ্নিনির্বাপক যানবাহন এবং পানিবাহী বিমান ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত ১৭ হাজার হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে। যদিও আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও আগামী কয়েকদিন আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ চলবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বনাঞ্চলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার রাস্তা বন্ধ রেখেছে। ১৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের বাড়ি ফিরে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু এই দাবানলকে “অভূতপূর্ব দুর্যোগ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও তীব্র খরাকেই এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পরিবেশমন্ত্রী আগনেস পানিয়ে-রুনাশেও দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।
গ্রাম এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে; যেমন, জোনকিয়ের গ্রামে প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা পুড়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সকলকে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং রাষ্ট্রের সব সম্পদ এই দুর্যোগ মোকাবেলায় নিয়োজিত রয়েছে।