
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে ২ নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের শুরুতে সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রান্তে শত শত শিক্ষার্থী এবং অন্য প্রান্তে স্থানীয়রা অবস্থান নেন। এসময় উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন জানান, এর আগে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রক্টর ও পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং এই বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঘটনার সূত্রপাত
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে এক ছাত্রী তার ভাড়া বাসায় প্রবেশ করতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে তার তর্ক হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে মারধর করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। তখন শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এরপর স্থানীয়রা মাইকে ডেকে লোক জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। এর আগে শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।