
অতিবৃষ্টির ফলে ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দী হাজারো মানুষ, জলাবদ্ধতা এবং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই তিন জেলার বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজার-এর নকশা চূড়ান্ত করার বিষয়, ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি এবং নোয়াখালী জেলার খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, তীর প্রতিরক্ষা ও পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যবেক্ষণ, জরুরি ব্যবস্থা এবং পুনর্বাসন—সবকিছু সমন্বিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
জনমনে এই বন্যা নিয়ে যেমন উৎকণ্ঠা রয়েছে, তেমনি সরকার ও প্রশাসনের কাছ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশা ও চাপও রয়েছে।