
২০১১ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন অবশেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) সিপাহী পদে যোগ দিয়েছেন। আগামীকাল, ১৯ সেপ্টেম্বর, তিনি বিজিবি’র প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগ দেবেন। ফেলানীর পরিবারের জন্য এটি এক নতুন আশার খবর।
ফেলানী হত্যার মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে তার পরিবার দীর্ঘকাল ধরে শোক ও বেদনার মধ্যে ছিল। তবে, এই নিয়োগ তাদের জীবনে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। পরিবার জানায়, ফেলানীর মৃত্যুর পর দেশবাসীর ভালোবাসা ও প্রতিবাদের কারণেই তারা মানসিক শক্তি পেয়েছিলেন। এছাড়াও বিজিবি সবসময়ই তাদের পাশে থেকেছে। আরফান এই সুযোগ পেয়ে বলেন, তিনি তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ এবং দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম আনুষ্ঠানিকভাবে আরফানের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। তিনি বলেন, ফেলানীর পরিবারের প্রতি বিজিবির সহমর্মিতা সবসময়ই থাকবে। তিনি আশা করেন, আরফান প্রশিক্ষণ শেষে একজন দক্ষ ও যোগ্য সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন। তিনি আরও বলেন, সীমান্তে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি সবসময় সতর্ক ও সচেষ্ট থাকে। এই নিয়োগটি সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মানবিক দায়িত্ব পালনে বিজিবির প্রতিশ্রুতির প্রতীক।