ফ্যাসিবাদের পর সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হচ্ছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ফ্যাসিবাদের পর সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হচ্ছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

দেশে ফ্যাসিবাদের বিদায় ঘটলেও এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হচ্ছে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, যদি গণতন্ত্রের পথে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে না রাখা যায়, তাহলে সাম্প্রদায়িকতা ফ্যাসিবাদের চেয়ে দ্বিগুণ কঠিন ও ভয়াবহ হতে পারে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব ও আগামীর গণতন্ত্র ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক আছে, বিএনপি তাদেরকেই আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে। তিনি ‘পিআর’ পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এটি সাধারণ মানুষ বোঝে না এবং এটি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতসহ উপমহাদেশের কোথাও এই পদ্ধতি নেই এবং এটি গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সম্পূর্ণ অচল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা মানেই দায়বদ্ধতা নেই এমনটা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মতো প্ল্যাটফর্মে যা খুশি তাই বলা বা যাকে খুশি তাকে আক্রমণ করা হচ্ছে, যা সমাজের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, যখন এত জামায়াত, এত বিএনপি সচিবালয়ে আছে, তাহলে শেখ হাসিনার আমলে তারা থাকল কীভাবে? তখন তো কর্মকর্তাদের ‘পোস্টমর্টেম’ করে সরিয়ে দেওয়া হতো।

বিএনপির এই নেতা দলের ভেতরেও আত্মসমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতিকে পেশা হিসেবে দেখছেন এবং মন্ত্রী-এমপি হওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন। এই প্রবণতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ না করি, তবে জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *