লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় ঈদুল আজহার ঠিক আগে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত এই হামলায় তারা হিজবুল্লাহর ড্রোন তৈরির কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে দাবি করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
হামলার আগে এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে সরিয়ে নিতে বার্তা পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর একটি ইউনিট গোপনে ভূগর্ভস্থ স্থানে বিপুলসংখ্যক ড্রোন তৈরি করছিল, যার পেছনে অর্থায়ন করছিল ইরানি চক্র।
তবে লেবাননের পক্ষ থেকে এ হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় বলেন, “এই হামলা আমাদের জাতির নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতির ওপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। এটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ঈদের ছুটি ও পর্যটন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে।”
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই হামলাকে আন্তর্জাতিক চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের হামলা লেবাননের সার্বভৌমত্ব এবং পূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতি অশ্রদ্ধার প্রকাশ।”
প্রসঙ্গত, গাজা যুদ্ধ শুরুর আগেই ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ চলছিল দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। গত বছরের শেষদিকে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়, যেখানে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়।
তবে এবার ওই চুক্তির বাইরে গিয়েই ইসরায়েলের এই হামলা সংঘটিত হলো। হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি।