
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টের সূত্র ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি গত ২৪ জুন দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। পুলিশের সুপার পদমর্যাদার এক পরিচালকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। এরপর র্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করে মূল হোতা মো. সেলিমসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের পরিচয়:
১. মো. সেলিম (৪০) – পিরোজপুরের বাসিন্দা, বর্তমানে মান্ডা, ঢাকা।
২. মো. তরিকুল ইসলাম (৪০) – বাগেরহাটের বাসিন্দা, বর্তমানে মুগদা, ঢাকা।
৩. মো. আতিক (৩৮) – দক্ষিণ মান্ডা, মুগদা, ঢাকা।
৪. মো. আব্দুল হাই সোহাগ (৩৫) – নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা, বর্তমানে মুগদা, ঢাকা।
৫. সোহাগ পাটোয়ারী (৪০) – লক্ষীপুরের বাসিন্দা, বর্তমানে মান্ডা, ঢাকা।
উদ্ধারকৃত জিনিসপত্রের মধ্যে রয়েছে:
একটি Sony ডিজিটাল ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুটি পাসপোর্ট, সমকাল পত্রিকার আইডি কার্ড, একাধিক টিভি ও পত্রিকার নাম ব্যবহার করে তৈরি ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেকবই, ছয়টি মোবাইল ফোন এবং মোট ২৩টি সিমকার্ড।
জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি:
আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক, পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম, ছবি এবং পরিচয় ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
উক্ত ঘটনায় রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নম্বর: ২১, তারিখ: ২৯ জুন ২০২৫)।
দুদক জানিয়েছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রতারণামূলক কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চলমান থাকবে।