
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় শনিবার একজন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুনিন এলাকায় একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় প্রাথমিকভাবে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই হামলার একদিন আগে নাবাতিয়েহ শহরে ইসরায়েলের আরেকটি ড্রোন হামলায় এক নারী নিহত ও ২৫ জন আহত হন। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির (এনএনএ) তথ্য অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অভিচয় আদ্রে দাবি করেছেন, তারা বেসামরিক ভবন নয়, বরং সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। তার ভাষ্যমতে, যেখানে হিজবুল্লাহ সদস্যদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছিল, সেখানেই আঘাত হানা হয়।
তিনি আরও বলেন,
“একটি রকেট ভবনের ভেতর থেকে বিস্ফোরিত হয়, যা আমাদের হামলার কারণ ছিল না, বরং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই অংশ।”
যদিও গত নভেম্বরে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছিল, কিন্তু এরপরও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংঘাত থামেনি। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে লিটানি নদীর উত্তরে ৩০ কিলোমিটার এলাকায় সেনা মোতায়েন বন্ধ করতে বলা হয়েছিল এবং সেখানে শুধু জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী ও লেবানিজ সেনা থাকার কথা ছিল।
কিন্তু, ইসরায়েল এখনো লেবাননের দক্ষিণে পাঁচটি কৌশলগত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব এলাকা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ইসরায়েল সেনা সরাচ্ছে না।