
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর-এর সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী চিহ্নিত উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডসমূহে “অপারেশন ক্লিন টুডে: সেফ টুমোরো” শীর্ষক বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ মঙ্গলবার সকালে মিরপুর-১ পাইকপাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টার প্রাঙ্গণে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,
“ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজন সবার সচেতনতা। আমরা যদি সমন্বিতভাবে কাজ করি, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিবার ও সমাজে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।”
ডিএনসিসি’র তথ্যমতে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর-এর জুন ২০২৫-এর জরিপে ওয়ার্ড ০২, ০৮, ১২, ১৩, ২২ ও ৩৪-এ এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়ায় এলাকাগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে আজ থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোতে সমন্বিতভাবে লার্ভা ও উড়ন্ত মশা নিধনে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অভিযানে অংশ নিচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি, সিডিসি ও ডিএনসিসি’র কীটতত্ত্ববিদ, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযানে যা থাকছে:
- এডিস মশার প্রজননস্থল অপসারণ
- লার্ভিসাইডিং ও ফগিং
- জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ
- মাইকিং ও সতর্কতামূলক নোটিশ
- মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
কর্মসূচির শেষে কীটতত্ত্বিক পরবর্তী জরিপ পরিচালনা করা হবে, যার মাধ্যমে অভিযান কতটা কার্যকর হয়েছে তা পর্যালোচনা করে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
ডিএনসিসি আশা করছে, নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণে এই অভিযান ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।