
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) জানিয়েছে, ঈদুল আজহার প্রথম দিনে বর্জ্য শতভাগ অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে প্রকাশিত কিছু গণমাধ্যম প্রতিবেদন ভিন্ন চিত্র উপস্থাপন করেছে।
এর প্রেক্ষিতে ৮ জুন ২০২৫, শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে।
সংস্থাটি জানায়, ৭ জুন রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে হালনাগাদ তথ্য অনুসারে জানানো হয়েছিলো, ঈদের প্রথম দিনে উৎপন্ন বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে।
তবে বিজ্ঞপ্তির পরও রাতেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি চালু ছিল, ফলে সেখান থেকে নতুনভাবে বর্জ্য তৈরি হয়।
ডিএনসিসি জানায়, এসব নতুন বর্জ্য রাতেই পরিষ্কারকর্মীরা সরিয়ে এনে এসটিএস (Secondary Transfer Station) এবং বিভিন্ন রাস্তায় জমা রাখেন, যা ল্যান্ডফিলে স্থানান্তরের পূর্বপ্রস্তুতির অংশ।
পরে সকালে এসব জমা রাখা বর্জ্য এসটিএস এবং রাস্তাগুলো থেকে সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
এ প্রক্রিয়ার মধ্যেই কিছু স্থানে জমা রাখা বর্জ্যের ছবি ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করেছে কিছু গণমাধ্যম, যা পুরো প্রক্রিয়ার চিত্র তুলে ধরে না।
ডিএনসিসি পরিষ্কার করে জানিয়েছে, বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া এখনো চলমান এবং আজ ও আগামীকালও তা অব্যাহত থাকবে।
কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, কোরবানির ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত নগরবাসী পশু কোরবানি করে থাকেন, ফলে প্রতিনিয়ত বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
সেই সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজও চলতে থাকে, যেখানে ডিএনসিসির ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী যুক্ত রয়েছেন।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজধানীকে সম্পূর্ণ বর্জ্যমুক্ত করে নগরবাসীকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত শহর উপহার দেওয়া হবে।