
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিদ জামান খানের মুখ চেপে ধরার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষার্থী রাফিদ জামান খান সমকালকে বলেন, আন্দোলনের সময় যমুনার দিকে মিছিল নেওয়ার সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালায়। তিনি জানান, “পুলিশ সদস্যরা আমাকে পেছন থেকে মারধর করতে থাকে। এক পুলিশ সদস্য আমার মুখ চেপে ধরলে ৬–৭ জন বুট দিয়ে লাথি মারতে থাকে। ছবিটি এআই জেনারেটেড নয়, বাস্তব ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেছে।”
রাফিদ আরও বলেন, “ধারণা করছি ডিসি মাসুদ আমার মুখ চেপে ধরেন। পুলিশের এমন আচরণ অপেশাদার ছিল। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে হামলা করা উচিত হয়নি। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।”
তবে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘সম্প্রতি উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমকে নিয়ে ছাত্রের মুখ চেপে ধরার ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এবং বাস্তবতা বিবর্জিত।’ ডিএমপি নিউজও ছবিটি এআই-জেনারেটেড বলে জানিয়েছে।
ফটো সাংবাদিক এবং তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার ও ডিসমিসল্যাব নিশ্চিত করেছেন, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি নয়, বরং আসল ঘটনা প্রতিফলিত।
এর আগে, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় শাহবাগ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা হাইকোর্টের সামনে আন্দোলনকারীর মুখ চেপে ধরার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ছবি কণ্ঠরোধের প্রতীক হিসেবে সমালোচিত হয়েছে।
বুয়েট শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটনার ছবি প্রকাশ এবং তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে নতুন বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।