শিশুদের মানসিক বিকাশ ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগরীতে পাঁচটি নতুন দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর উত্তরা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ভবনগুলোর উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
উদ্বোধনকৃত বিদ্যালয় ভবনগুলো হলো:
- আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (উত্তরা),
- ওয়াক আপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মিরপুর-১),
- খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মিরপুর-১২),
- ডিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (উত্তরা),
- কোব্বাদ সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (গেন্ডারিয়া)।
এই পাঁচটি ভবন নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে চারটি ভবন ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট চারতলা এবং একটি তিনতলা ভবন। সব মিলিয়ে এসব ভবনে রয়েছে ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক কক্ষ, ৮৯টি ওয়াস ব্লক এবং শিক্ষার্থীদের মোট ধারণক্ষমতা প্রায় ২,৬৯৬ জন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আক্তার খান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “ভবন নির্মাণ করলেই শিক্ষার মান উন্নয়ন হয় না, প্রয়োজন শিক্ষকদের নিষ্ঠা ও অভিভাবকদের সচেতন অংশগ্রহণ। শিশুদের শেখার প্রধান উৎস স্কুলের পরিবেশ হলেও পরিবার এবং কমিউনিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য খুবই মৌলিক—একজন শিশু যেন প্রাথমিক শিক্ষা শেষে সাবলীলভাবে মাতৃভাষা পড়তে ও লিখতে পারে এবং গণিতের মৌলিক চারটি ধাপ—যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ—জানতে পারে। এই লক্ষ্য অর্জনে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, এর আগেও গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন করেন। নতুন এ ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে “ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পটির মোট বরাদ্দ ১,৩৭২ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং এটি বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।