ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ: হাইকোর্ট

ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ: হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

শুনানিতে আদালত বলেন, ডাকসু নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এ সময় আদালত প্রার্থিতা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। পরবর্তীতে আদালত ডাকসু নির্বাচনের প্রক্রিয়া আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের ভিত্তিতে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, চেম্বার আদালত আগামীকাল পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে এবং শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ সালে। এর তিন বছর পর ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১০০ বছরে ডাকসুর মাত্র ৩৭টি নির্বাচন হয়েছে। স্বাধীনতার পর গত ৫৪ বছরে নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার।

ডাকসু পরিচালিত হয় একটি গঠনতন্ত্র দিয়ে। ১৯৯১ সালের পর থেকে এ গঠনতন্ত্র তিনবার সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে একটি সংশোধন কমিটি গঠিত হয়, যা বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত নিয়ে প্রস্তাবনা জমা দেয়। গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট ওই সংশোধনী অনুমোদন করে।

সংশোধিত গঠনতন্ত্রে নির্বাচনে বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়, যা ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া তিনটি নতুন সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করা হয়েছে— মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *