বাংলাদেশের কৃষি ও গবেষণায় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী চীন

কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মৎস্য ও গবেষণা খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে চায় চীন। রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠিত চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলনে এই বার্তা দিয়েছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ভেনটাও।

ঢাকার স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি বলেন, “চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, পানি সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণ প্রযুক্তি ও মৎস্য খাতে আমরা ব্যাপক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

চীনা মন্ত্রী জানান, তার সঙ্গে যেসব কোম্পানি এসেছে তারা বাংলাদেশের উন্নয়নধারা দেখে অনুপ্রাণিত। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজ ও নদী-সামুদ্রিক মাছ চাষে চীনের প্রযুক্তি সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “প্রতিটি গ্রামকেই উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তর করা সম্ভব। চীনের সহায়তায় তা বাস্তবায়ন করা যাবে।”

ওয়াং ভেনটাও আরও বলেন, “কৃষিকাজ শুধু শিল্প নয়, এটি একটি সামাজিক সংগঠনের রূপও বহন করে। চীন বর্তমানে গভীর সমুদ্র মাছ ধরায় বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। এ খাতে বাংলাদেশের জন্য আমাদের অনেক কিছু দেওয়ার আছে।”

চীনা মন্ত্রী জানান, চীন প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের পাট আমদানি করে, যা দেশের মোট পাট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্য বৈচিত্র্যে মনোযোগ দিলে এই পরিমাণ বহুগুণে বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, “পাটখাতে চীন-বাংলাদেশ যৌথ গবেষণা হলে পাট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় পণ্য হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের ডিজাইনাররা চীনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করলে আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে।”

অধ্যাপক ইউনূস চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “আপনার কথা যেন কানে সংগীতের মতো বাজছে। আজকের সম্মেলন ও বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য আশার আলো।”

তিনি সাম্প্রতিক চীন সফরের কথাও স্মরণ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, এ সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *