
চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম এলাকা অক্সিজেনের স্টার শিপ গলির শীতল ঝরনা খালের ওপর অবস্থিত একটি পুরোনো সেতু আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় ভেঙে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে এক পাশ দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য পাশ দিয়ে সীমিত আকারে গাড়ি চললেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন এলাকায় যাতায়াত করেন। আশপাশে রয়েছে পোশাক কারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফলে এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, ১৯৮০ সালের দিকে নির্মিত এই ইটের তৈরি সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খাল সম্প্রসারণ করার পর পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়, কিন্তু সেতুর কাঠামো অপরিবর্তিত থাকে। এতে সেতুর পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে কাঠামোগত দুর্বলতা তৈরি হয়। আজ ভোর থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পানির চাপ বেড়ে গিয়ে সেতুটি ভেঙে যায়।
প্রধান প্রকৌশলী আরও জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হয়েছে এবং দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত কাজ শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক শামসুল ইসলাম বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য পাশ দিয়ে সীমিতভাবে গাড়ি চলাচল করছে, তবে সেই অংশটিও ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় সেটিও ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মোটরসাইকেল আরোহী বেলায়েত হোসেন জানান, তিনি জরুরি কাজে যাচ্ছিলেন, কিন্তু মাঝপথে এসে দেখতে পান সেতু ভেঙে পড়েছে। তাঁকে বিকল্প পথে যেতে হয়েছে, এতে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পথচারীরা দ্রুত সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দীর্ঘদিন যান চলাচলের বিঘ্ন হলে পুরো নগরের যানবাহন চলাচলে বড় প্রভাব পড়বে।