চট্টগ্রামে ময়লা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে চসিকের কড়া পদক্ষেপ

চট্টগ্রামে ময়লা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে চসিকের কড়া পদক্ষেপ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য রোধ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

তিনি জানান, বাসাবাড়ি থেকে ডোর-টু-ডোর ময়লা সংগ্রহে অনিয়ম, অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং সেবায় গাফিলতি ঠেকাতে ৪১টি ওয়ার্ডে টেন্ডার আহ্বান করে যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে নতুন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং অভিযোগ পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিল পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আরও বলেন, “বর্তমানে কিছু কোম্পানি চসিকের অনুমোদন ছাড়া মসজিদ-মাদ্রাসা ও বাসাবাড়ি থেকে ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। আমরা এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

তিনি বলেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতা বাড়ছে। ড্রেন পরিষ্কারের পরও আবার ময়লা জমে যায়। নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া পরিচ্ছন্ন শহর সম্ভব নয়।

অভিযোগ রয়েছে, অনেকে টাকা দিলেও বাসা থেকে ময়লা নিচ্ছে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন বহু অভিযোগ পাই। মানুষ বলছে, টাকা দিলেও কেউ ময়লা নেয় না। এই সমস্যার সমাধানে আমরা শক্তভাবে এগোচ্ছি।”

চসিক বর্তমানে ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ নীতিতে কর্মচারী পরিচালনা করছে। ২০০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে যারা দীর্ঘদিন কাজ করছেন না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় আরও জানানো হয়, চসিকের নিজস্ব যানবাহন ও যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। ২০-২৫ বছরের পুরনো যন্ত্র দিয়ে কাজ চলছে। স্কেভেটর ও ডোজার ভাড়া নিতে হচ্ছে। এই খাতে আরও বরাদ্দ প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা ও ডা. এস এম সারোয়ার আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *