
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় রিয়াজ রহমান হোসাইন নামে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আঘাতের শিকার ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম হৃদয় মিয়া, যিনি ছাত্রলীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি প্রার্থী।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) হৃদয় মিয়াকে শারীরিক আঘাতের কারণে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যায়। আহত হৃদয় মিয়াকে এনওয়াইপিডি ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হাসপাতাল থেকে হৃদয় মিয়া বাংলাদেশের একটি শীর্ষ গণমাধ্যমকে ঘটনাটির বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, “আমাদের বিক্ষোভ শেষে বাসায় যাওয়ার জন্য হাঁটছিলাম। এমন সময় এক যুবক এসে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে গালাগালি করে। আমি বললাম, আমি আপনাকে চিনি না জানি না, আমাকে কেন গালিগালাজ করছেন? এ কথা বলতেই অতর্কিতে আমাকে মাথায়, ঘাড়ে ও মুখে ঘুষি মারে।”
তিনি আরও জানান, তিনি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশ এসে দুজনকেই ধরে। পরে পুলিশের অন্য একজন সদস্য নিশ্চিত করেন যে, রিয়াজ প্রথম আঘাত করেছে। এরপর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতালে দিয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য গিয়াস আহমেদ গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াজকে তাদের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি থানায় গিয়েছেন এবং দ্রুত রিয়াজের মুক্তি আশা করছেন।
তবে ঘটনার ভিন্ন কারণ উল্লেখ করে গিয়াস আহমেদ বলেন, “ওই ছাত্রলীগ নেতা এয়ারপোর্টে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। সেই ক্ষোভ থেকে রিয়াজ তাকে মেরে দুটি দাঁত ভেঙে দিয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের অনুষ্ঠান ভন্ডুল করতে এসেছিল, এ জন্যই সে (হৃদয় মিয়া) বেধড়ক মার খেয়েছে।