রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মো. রিপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে), ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান রিপনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ, তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণের পর রিপনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়াও একই মামলায় গ্রেপ্তার আসামি সোহাগ, হৃদয় ইসলাম এবং রবিনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর এক আসামি সুজন সরকারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুনানিকালে রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন।
এর আগে, ১৪ মে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে মামলার অন্য তিন আসামি—তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিক—কে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম দফায় তাদের ছয় দিনের এবং দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদল নেতা সাম্য ছুরিকাঘাতের শিকার হন। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের বড় ভাই শাহবাগ থানায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।