
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ৫ জন ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আটক হওয়া নেতাকর্মীদের পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গুমের মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে আদালত থেকে জেলহাজতে নেওয়ার সময় বাদীপক্ষের নেতাকর্মীরা ডিম নিক্ষেপ ও স্লোগান দেন। এতে পুলিশ বাদীর ভাই ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি সেতাউর রহমানসহ পাঁচজনকে আটক করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সেন্টু জানান, ২০১৬ সালে শিবগঞ্জ উপজেলার পারদিলালপুর গ্রামের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান ও রেজাউল করিম নিখোঁজ হন। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। আট বছর পর নিহতদের বাবা আইনাল হক শিবগঞ্জ থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশের পাঁচজন সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সালাম, ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর বডিগার্ড আবুল কালাম আজাদ এবং শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
এই আসামিদের জেলহাজতে নেওয়ার সময় বাদীপক্ষের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে ডিম ছোড়েন ও স্লোগান দেন। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সদর থানার ওসি মতিউর রহমান জানান, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাদের সাময়িকভাবে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তবে সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি ওবায়েদ পাঠান দাবি করেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কোনো বিশৃঙ্খলা বা ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটায়নি।
বিএনপি দাবি করেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেজাউল ও মিজানুরসহ নয়জন বিএনপি নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন এবং দুটি মামলা বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।