
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “বাংলাদেশে আর চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। কেউ যদি চাঁদাবাজদের রক্ষা করার চেষ্টা করে, তবে তাকেও চাঁদার ভাগীদার হিসেবে গণ্য করা হবে।” মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দলীয় বা ব্যক্তিগত প্রভাব কাজে লাগিয়ে কেউ যদি চাঁদাবাজদের প্রটেকশন দেয়, তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। এই দেশ কারও দালালির জায়গা নয়। প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন দেশের এবং জনগণের পক্ষে থাকে—এটাই আমরা চাই।”
সারজিস আলম অভিযোগ করেন, বিগত বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হলেও টাঙ্গাইলের মানুষের জন্য সেই অনুপাতে উন্নয়ন হয়নি। “যেটুকু বরাদ্দ এসেছে, তারও বড় অংশ লুটপাট করে খেয়েছে এক শ্রেণির নেতাকর্মী,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আগামীর বাংলাদেশে এমন মিডিয়া চাই না, যারা ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে দালালি করে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কিছু গণমাধ্যম যেভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা রেখেছে, তা লজ্জাজনক। মিডিয়া যেন জনগণের কণ্ঠস্বর হয়, কোনো প্রোপাগান্ডার অংশ না হয়।”
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, “এই শিল্প শুধু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় পিছিয়ে পড়ছে। আমরা চাই সরকার ও প্রশাসন এই শিল্পকে রক্ষা করুক।”
বাংলাদেশের ইতিহাসকে একটি নির্দিষ্ট নেতা বা দলের চারপাশে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানীর মতো নেতাদের অবদানকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা ইতিহাস বিকৃতির শামিল।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, সারোয়ার নিভা এবং ডা. তাজনুভা জাবিন।