আব্দুর রহমান সাদিপ

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুর জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে আগাম পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (৬ জুন) এসব গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাদ্রা দরবার শরীফের মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। ইমামতি করবেন দরবার শরীফের পীর মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। পরে সকাল ৮টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ইমামতি করবেন পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
জানা যায়, ১৯২৮ সালে সাদ্রা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক চৌধুরী কোরআন-হাদিসের ভিত্তিতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালনের এই প্রথা চালু করেন। প্রায় ৯৬ বছরের পুরনো এই রেওয়াজ বর্তমানে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তৃত হয়েছে।
যেসব গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন হবে তার মধ্যে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী; কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।
সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী জানান, “আমরা শুধুমাত্র সৌদি আরবকে অনুসরণ করি না, বরং কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা পালন করি।”
ঈদ উপলক্ষে এসব গ্রামে কোরবানির পশু ক্রয়সহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।