মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দত্তগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক প্রদীপ বৈদ্যের (১৮) লাশ ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর ২ জুন (সোমবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিষয়টি কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম আপছার নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতের কৈলাশহর থানা পুলিশ ও বাংলাদেশের কুলাউড়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বিএসএফ নিহত প্রদীপের লাশ বিজিবির হাতে তুলে দেয়। পরে বিজিবি লাশটি কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকেই নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানান, “সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশি যুবককে হত্যার ঘটনায় আমরা বিএসএফের প্রতি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে লাশটি আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে (শনিবার) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ত্রিপুরা রাজ্যের ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরের রাঙ্গাউটি সীমান্ত থেকে বিএসএফ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে প্রদীপ বৈদ্য গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
নিহত প্রদীপ বৈদ্য শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার শৈলেন্দ্র বৈদ্যের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় প্রায়ই সীমান্ত উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সাধারণ মানুষের চলাচলেও ঝুঁকি থাকে।
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকের নিহত হওয়ার এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সুষ্ঠু তদন্ত ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।