
বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য বন্দরে ৬৫ মণ ইলিশ নিয়ে ফিরেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার। ইলিশের এমন বড় চালান আসায় খুশি হয়েছেন জেলে, আড়তদার ও ট্রলার মালিকরা।
রোববার দুপুরে মাছগুলো আলীপুরের “মেসার্স খান ফিশ” আড়তে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায়। ট্রলারটি শনিবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণে ১৫০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এসব ইলিশ ধরে।
জানা যায়, ‘এফবি সাদিয়া-২’ নামের ট্রলারটি ৯ জুলাই ২৩ জন জেলে নিয়ে আলীপুর ঘাট থেকে রওনা দেয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও তারা গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে পরদিন ও তার পরদিন কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ ধরে।
ইলিশগুলো তিনটি আকারে ভাগ করে বিক্রি করা হয়—
- ৯০০ গ্রাম–১ কেজি ওজন: প্রতি মণ ৯৫ হাজার টাকা
- ৬০০–৮০০ গ্রাম: প্রতি মণ ৭০ হাজার টাকা
- ৪০০–৫০০ গ্রাম: প্রতি মণ ৫৬ হাজার টাকা
এছাড়াও অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে আরও ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায়।
ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন জানান, “দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা এবং আবহাওয়ার কারণে সাগরে যাওয়া কষ্টকর ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, এবার ভালো মাছ পেয়েছি।”
খান ফিশের ম্যানেজার মো. সাগর ইসলাম বলেন, “অনেকদিন পর এত বড় পরিমাণ ইলিশ এসেছে। এতে জেলেরা কিছুটা হলেও আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।”
কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ার পর এখন মাছ ধরা শুরু হয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলেরা আরও বেশি মাছ পাবে।”