
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের ঘোষণা—দুটি সিদ্ধান্তকেই বিএনপি স্বাগত জানায়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এক বছর আগে এই দিনে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। বহু ছাত্র ও জনতার রক্তের বিনিময়ে আজকের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা সেই সব শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
তিনি জানান, বিগত এক বছরে বিএনপি রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য কমিশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছে। এখন রাষ্ট্রকাঠামো, সংবিধান এবং গণতন্ত্রমূলক সংস্কারের বিষয়ে এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা আশা করি, এই ঐকমত্য খুব শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে এবং বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে, এবং একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাবে দেশ।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রকে আমরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেইসঙ্গে জুলাইয়ের শহীদদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে।”
আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে আইনি ও মানবিক সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তেমনি আমরাও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করব।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেবেন এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজান শুরুর আগেই, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, এই ঘোষণা সারা দেশে একটি নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টি করবে। “আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য—যা আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত হবে।”
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, “এই ঘোষণা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা দূর হবে। একটি সচল, গতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি হবে।”