বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করলে দেশে চাঁদাবাজির প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে।: চরমোনাই পীর ।

স্টাফ রিপোর্টার , দেশীবার্তা, সুনামগঞ্জ।

বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করলে দেশে চাঁদাবাজির প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে।: চরমোনাই পীর ।
আজ সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এক গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় এলে দেশে চাঁদাবাজির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তার ভাষায়, বিএনপি একা সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগ ও ভারত পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করবে, ফলে দেশে চাঁদাবাজি, অর্থপাচার এবং সহিংসতা বেড়ে যাবে, আরও অনেক মা সন্তান হারাবেন।

আজ সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ‘পিআর পদ্ধতি’ ও ‘জুলাই সনদ’ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশী।

গণসমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, দেশে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হয়, অথচ বাকি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোটের কোনো মূল্যায়ন হয় না। তার মতে, পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে প্রতিটি ভোটের সঠিক মূল্য পাওয়া যাবে, দেশ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হবে, এবং গুন্ডামি ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বন্ধ হবে।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের মূল দাবি ছিল মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং তার পর জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু না সংস্কার হয়েছে, না বিচার নিশ্চিত হয়েছে। নরসিংদীতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানানোয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—এটাই বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি। এমন অবস্থায় নির্বাচন হলে গুন্ডাতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে, চাঁদাবাজি বাড়বে এবং আরও অনেক মা সন্তান হারাবেন।”

পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রেজাউল করীম বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনার পরও যখন সন্তানহারা মায়ের কান্না থামেনি, তখন কিছু গোষ্ঠী চাঁদাবাজি ও স্টেশন-ঘাট দখলে নেমেছে। এই দুষ্টচক্রকে প্রতিহত করতে আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করছি। যারা এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে, তাদের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। পৃথিবীর ৯১টি দেশে পিআর ব্যবস্থা চালু আছে। জনগণ এখন ইসলামের পক্ষে একটি শক্তি চায়, আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি—ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে একত্র করে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছি।”

সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহেল আহমদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মুহাম্মদ আবদুল মুছাব্বির, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নূর উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *