
কলকাতার নির্মাতা এম এন রাজ পরিচালিত ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাশারের। এই সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের ‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত অভিনেতা শারমন যোশির সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিষেক হচ্ছিল বাংলাদেশের তানজিন তিশার। একই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন খায়রুল বাশারও।
শুক্রবার ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, যেখানে খায়রুল বাশারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয় তিনি শারমন যোশির সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। দেশের মিডিয়াতেও খবরটি ফলাও করে প্রকাশ পায়। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই হঠাৎ সামাজিক মাধ্যমে খায়রুল বাশার জানান, তিনি সিনেমাটিতে থাকছেন না।
নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে খায়রুল বাশার লেখেন, ‘ভালোবাসার মরশুম সিনেমায় সম্পৃক্ত হবার কথাবার্তা চলছিল। খুব শীঘ্রই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল, যদি শিডিউল জটিলতার সমাধান হতো। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় আমি এই সিনেমা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। ধন্যবাদ।’
তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন কথা জানিয়েছেন সিনেমার পরিচালক এম এন রাজ। তিনি জানান, খায়রুল বাশারকে আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং তাকে অগ্রিম পারিশ্রমিকও প্রদান করা হয়েছে। নির্মাতার ভাষ্য, “খবর প্রকাশের পরই হঠাৎ করে খায়রুল বাশার একটি বার্তা পাঠিয়ে জানায়, সে সিনেমাটি করতে পারছে না। অথচ আগেই চুক্তি, ই-মেইলে সম্মতি এবং সম্মানির একাংশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। এরপর একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এটা একদমই অপেশাদার আচরণ।”
অন্যদিকে খায়রুল বাশার জানান, তিনি কাজ না করায় নেওয়া অগ্রিম পারিশ্রমিক ফেরত দেবেন। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “মৌখিক সম্মতির পর এক-চতুর্থাংশ টাকা পরিশোধ করা হয়। আমি যেহেতু কাজ করছি না, তাই সেই টাকা অবশ্যই ফেরত দেব। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হয়েছে, পেলেই পাঠিয়ে দেব। আর কল না ধরার কারণ, আমি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। পরে বার্তায় জানিয়েছি।”
সিনেমাটির কাস্টিং ডিরেক্টর শরিফ জানান, খায়রুল বাশারকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছিল এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে সিনেমা নিয়ে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “হঠাৎ করে সিনেমা না করার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অপেশাদার। একজন পেশাদার শিল্পীর কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না।”
এদিকে জানা গেছে, ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমার প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দার্জিলিংয়ে। চলবে টানা ২৩ দিন। এরপর অক্টোবর মাসে মুর্শিদাবাদে হবে দ্বিতীয় ধাপের শুটিং। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ভালোবাসা দিবসে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।